
কাদিয়ানীবাদের দুই চেহারা
- লেখক : হযরত মাওলানা মুশতাক আহমদ চরথাওলী
- প্রকাশনী : মাকতাবাতুল খিদমাহ
- বিষয় : ইসলামি গবেষণা
পৃষ্ঠা : 208
কভার : হার্ড কভার
সংস্করণ : 1st Published 2023
380.00৳ Original price was: 380.00৳ .228.00৳ Current price is: 228.00৳ . (40% ছাড়)
কয়েকটি কাদিয়ানী অজুহাত এবং তার উত্তর :
এ আলোচনাটি সম্পূর্ণ করার জন্য ‘আহমদিয়া পকেটবুক’ থেকে কাদিয়ানীদের কিছু অজুহাত উত্তরসহ উদ্ধৃত করা হচ্ছে।
কাদিয়ানী অজুহাত নং ১ :
হযরত মির্জা সাহেবের বাণীতে কোনো বিরোধ নেই। হ্যাঁ, এমন হতে পারে যে, নবী প্রথমে নিজের পক্ষ থেকে একটি কথা বলেন; কিন্তু তারপর খোদা তায়ালা তাকে জানিয়ে দেন যে কথাটি ভুল, সঠিকটি হল এই। সুতরাং দ্বিতীয় বক্তব্যটি নবীর নয়, হবে আল্লাহর। তাই কোনো স্ববিরোধিতা থাকবে না। স্ববিরোধিতার জন্য একই ব্যক্তির দুটি বক্তব্য হতে হবে। (সারসংক্ষেপ: আহমদিয়া পকেটবুক পৃ. ৭৯৩-৮০২)
উত্তর নং ১ : আমরা মির্জা সাহেবের নবী হওয়াকেই স্বীকার করি না। একথার পক্ষে আমাদের অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। যেমন: এক. নবী কবি হয় না। অথচ মির্জা কাদিয়ানী কবি ছিলেন। নিজের সত্যতা প্রমাণ করতে তিনি নিজের কবিতা উদ্ধৃত করতেন।
দুই. নবীর কোনো মানুষ শিক্ষক থাকে না। তাদের শিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। অথচ মির্জা কাদিয়ানীর একাধিক শিক্ষক ছিল। (দেখুন তার পুস্তক- কিতাবুল বারিয়া পৃ. ১৪৮, রুহানি খাজায়েন ১৩/১৮০-১৮১)
তিন. নবী নন-মাহরাম নারীদের হাতও স্পর্শ করেন না। অথচ মির্জা কাদিয়ানী ভানু নামের জনৈক কাজের মহিলাকে দিয়ে পা টেপাত। (মির্জাপুত্র বশির আহমদ রচিত মির্জা কাদিয়ানীর জীবনচরিত- সীরাতুল মাহদি ৩/২১০, পুরোনো সংস্করণ; ভলিউম ১, খণ্ড ৩, পৃ. ৭২২ পুরোনো সংস্করণ, বর্ণনা নং ৭৮০)
চার. নবী লেখক হন না। অথচ মির্জা সাহেব ৮৪টি বইয়ের লেখক।
পাঁচ. নবী স্বাধীনতার পক্ষে থাকেন। হযরত মুসা আলাইহিস সালাম ফেরআউনকে বলেছিলেন, Jailyal by Lies Lagi আমার সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও। অথচ মির্জা কাদিয়ানী ছিল ইংরেজদের চাটুকার এবং তাদের স্বরোপিত চারা। মুসলমানদেরকে ব্রিটিশ সরকারের আনুগত্যের উপদেশ দিত। (দ্রষ্টব্য তার পুস্তক তোহফায়ে কায়সারিয়া)।
Reviews
There are no reviews yet.