তাযকিয়াতুন নাফস

পৃষ্ঠা : 280
কভার : হার্ড কভার
সংস্করণ : 4th Published 2022
আইএসবিএন : 9848430290

নাফসের পরিশুদ্ধি দীনের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাফস পরিশুদ্ধ হওয়া ছাড়া মানুষের ঈমান ও ইসলাম কখনাে বিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ হয় না। উল্লেখ্য যে, মানুষের দুটি দিক রয়েছে। একটি হলাে বাহ্যিক, অপরটি হলাে অভ্যন্তরীণ বা আত্মিক । ইসলাম যেমন মানুষের বাহ্যিক দিককে পূত-পবিত্র করতে চায়, তেমনি তার ভেতরের দিকটিকেও সম্পূর্ণ কলুষমুক্ত ও সুন্দর করতে চায়। মানুষের এ অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ আত্মিক দিকটির পরিশুদ্ধিকেই কোরআনের ভাষায় ‘তাযকিয়াহ’ বলা হয়। বস্তুত একজন মানুষ তার নাফসকে পবিত্রকরণ ও মনের কলুষ দূরীকরণের মাধ্যমে নিজের আবেগ-অনুভূতিকে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের কাজে এমনভাবে নিয়ােজিত করতে পারে যে, দীনের বাহ্যিক ‘ইবাদাতসমূহ স্বয়ং তার আবেগ ও নাফসের দাবিতে রূপায়িত হয়ে যাবে। যদি কেউ বাহ্যিক ও প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সালাত, সাওম, যাকাত ও হাজ্জ পালন করে; কিন্তু তার নাফস পবিত্র ও পরিশুদ্ধ না হয়, তা হলে তার সে ‘আমাল ঐ ফুলের মতাে, যার রং সুন্দর ও আকর্ষণীয়; কিন্তু তাতে কোনাে সুঘ্রাণ নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে যদি কোনাে ব্যক্তিকে পরীক্ষা করতে হয়, তা হলে অবশ্য দেখতে হবে যে, তার অন্তর কতােখানি পবিত্র ও কলুষমুক্ত। আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাহর অন্তরকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন; বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানকে নয়।
কাজেই নাফস পরিশুদ্ধ করা এবং এ উদ্দেশ্যে তার উপর সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ও শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা দীনের একটি অতি অপরিহার্য কর্তব্য ও সর্বাপেক্ষা বড় জিহাদ।
আমি এ গ্রন্থটিতে আমার সামান্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বক্ষ্যমাণ বিষয়ে গবেষণা করে যতটুকু সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছি, তাই কেবল ‘ইলমের প্রচার ও প্রসারের দায়িত্বানুভূতি থেকেই তোলে ধরতে চেষ্টা করবো এবং কোরআন ও হাদীসের আলোকে ‘তাযকিয়াতুন নাফস’ বলতে কী বোঝায়, নাফস ও কালবের ব্যাধি ও ত্রুটিগুলো কি কি এবং এগুলো দূরীভূত করার কী কী পথ রয়েছে, প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করতে প্রয়াস পাবো, ইনশাআল্লাহ।

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “তাযকিয়াতুন নাফস”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Shop
0 items Cart
My account