
যুগজিজ্ঞাসার ইসলামি সমাধান (দুই খন্ড)
- লেখক : শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী
- প্রকাশনী : মাকতাবাতুল খিদমাহ
- বিষয় : ইসলামী জ্ঞান চর্চা
পৃষ্ঠা : 750
কভার : হার্ড কভার
1,400.00৳ Original price was: 1,400.00৳ .812.00৳ Current price is: 812.00৳ . (42% ছাড়)
বিপদাপদ রহমত, না আজাব? কার জন্য রহমত, কার জন্য আজাব?
সমাধান: মানুষ বিভিন্নভাবে বিপদগ্রস্ত হয়। কখনো অসুস্থতা বা দরিদ্রতার কশাঘাতে জর্জরিত হয়। আবার কখনো অর্থনৈতিক দৈন্যতা বা ঘরোয়া কোনো মুসিবতে নিপতিত হয়। সব ধরনের বিপদাপদকে দুভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-
এক. কিছু বিপদাপদ আছে, যেগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি হিসেবে আপতিত হয়। যদিও পাপের মূল সাজা মানুষ পরকালে ভোগ করবে, তবুও কখনো মহান আল্লাহ ইহকালেই মানুষকে শাস্তি দিয়ে থাকেন। যেমন, কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنَ الْعَذَابِ الْأَدْنَى دُونَ الْعَذَابِ الْأَكْبَرِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
এবং সেই বড় শাস্তির আগে আমি অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতেও লঘু শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাব। যাতে তারা ফিরে আসে। ১০
• দুই. আবার কিছু বিপদাপদ ও মুসিবতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। তার সম্মান ও সাওয়াব বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তাকে এসব বিপদে নিপতিত করেন।
কিন্তু এই দুই ধরনের বিপদ-আপদ ও মুসিবতের মধ্যে কীভাবে পার্থক্য নিরুপিত হবে? কীভাবে বুঝা যাবে কোনটি আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত আর কোনটি আজাব? বস্তুত উভয়ধরনের বিপদ-আপদ ও সংকটকে চেনার আলাদা আলাদা চিহ্ন রয়েছে।
যেসব বিপদ-আপদের কারণে মানুষ আল্লাহ বিমুখ হয়, তাকদিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করতে থাকে, হা-হুতাশ করে বলতে থাকে, আমিই কি এ বিপদের জন্য উপযুক্ত ছিলাম, আমার ওপরই-বা কেন এ বিপদ এলো! অথবা বিপদগ্রস্ত হওয়ার ফলে সে আল্লাহর দেওয়া বিধানসমূহ ছেড়ে দেয়। যেমন ইতোপূর্বে সে সালাত আদায় করত, কিন্তু বিপদগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়। আগে বিভিন্ন জিকির-আজকার ও ইবাদাতে অভস্ত ছিল, কিন্তু বিপদে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তা ছেড়ে
Reviews
There are no reviews yet.