
ঈদুল আযহা ও কুরবানী
- লেখক : মুফতি মুহাম্মাদ শফি রহ.
- প্রকাশনী : ফুলদানী প্রকাশনী
- বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : ৩২
কভার : পেপারব্যাক
70.00৳ Original price was: 70.00৳ .37.00৳ Current price is: 37.00৳ . (47% ছাড়)
কুরবানীর দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। কিন্তু না জানার কারণে অথবা অলসতার কারণে অথবা কোনো ওজরের কারণে যদি কেউ কুরবানী করতে না পারে, তাহলে কুরবানীর মূল্য ফকির-মিসকিনকে সদকাহ করে দেওয়া ওয়াজিব। (দুররে মুখতার ও শামি: ৯/৪৫৭, বাদায়ে সানায়ে: ৪/২০২)কিন্তু কুরবানীর তিনদিনের মধ্যে পশুর মূল্য সদকাহ করে দেওয়ার দ্বারা এই ওয়াজিব আদায় হবে না। (আলমগিরি: ৫/২৯৩)বরং সে সর্বদা গুনাগার থাকবে। কেননা কুরবানী একটি মুস্তাকিল ইবাদত (স্বতন্ত্র ইবাদত), যেমন নামাজ পড়ার দ্বারা রোজা রাখা এবং রোজা রাখার দ্বারা নামাজ আদায় হবে না। যাকাত আদায় করার দ্বারা হজ আদায় হবে না। এরকমভাবে সদকাহ- খয়রাত করার দ্বারা কুরবানী আদায় হবে না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইরশাদ ও আমল এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা তা প্রমাণিত।নোট: অনেক লোক শরিয়ত সম্পর্কে না জানার কারণে একথা বলেন যে, কুরবানীর পরিবর্তে যদি পশুর মূল্য গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয় তাহলে গরিবদের বেশি ফায়দা হবে। কিন্তু এটি একটি মূর্খতাসুলভ কথা। প্রথমত এজন্য যে, আল্লাহ তায়ালা শরিয়তের মধ্যে এমন কিছু করার ইচ্ছা নেই যে, কেউ এটার মধ্যে কম-বেশি করবে।দ্বিতীয়ত একারণে যে, কুরবানীর উদ্দেশ্য এটা নয় যে গরীবদেরকে সাহায্য করা। তাদের জন্য শরিয়ত জাকাত এবং সদকার একটি পদ্ধতি বানিয়ে দিয়েছে; বরং কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য হলো- আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা। যেরকমভাবে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং হজরত ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম প্রকাশ করেছেন। এজন্য কুরবানীর পশু জবাই করা- এ দিনগুলোতে সবচেয়ে পছন্দনীয় ইবাদত বলেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.