
নারী ও পর্দা কি ও কেন?
কভার : হার্ডকভার
270.00৳ Original price was: 270.00৳ .140.00৳ Current price is: 140.00৳ . (48% ছাড়)
পর্দা প্রেম-ভালোবাসার বন্ধন
নারী স্বভাবগতভাবে ও আইনগতভাবে পুরুষের অনুগত। আর পুরুষ প্রেম-ভালোবাসা ও হৃদয়াবেগের কারণে নারীর অনুগত। নারীর প্রতি পুরুষের এই আনুগত্য ততক্ষণ পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রেম-ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকে। আর প্রেম-ভালোবাসা ততক্ষণই অবশিষ্ট থাকে যতক্ষণ উভয়-ই (নারী-পুরুষ) পর্দার বিধান মেনে চলে। এটি কোন বাহুল্য দাবী নয়; বরং যুক্তিগত দিক থেকেও এ দাবী সমর্থিত।
জনৈকা ইউরোপিয়ান নারী তার লেখা এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “আজকাল নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে ‘বেপর্দা’ করে রাস্তায় নামিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা চলছে, তা নারী জাতির জন্য এক আত্মঘাতি পদক্ষেপ। কেননা, বর্তমানে নারী-পুরুষের পারস্পারিক সম্পর্কের প্রতি খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই গুরুত্ব প্রদান করার আসল কারণ হল একজনের প্রতি আরেকজনের গভীর অনুভব-উপলব্ধি, প্রেম-ভালোবাসা ও হৃদয়াবেগ। আর প্রেম-ভালোবাসা ও হৃদয়াবেগের দাবী হল, প্রিয়জনকে একান্ত নিজের করে পাওয়া। অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, যে জিনিস একান্ত নিজের করে পাওয়া যায় না, তার সাথে গভীর হৃদয়াবেগ সৃষ্টি হয় না। নারী-পুরুষের সম্পর্কের ঐকান্তিকতা এবং দু’জন দু’জনকে একান্ত নিজের করে পাওয়ার বৈশিষ্ট্য একমাত্র ইসলামী পর্দাপ্রথার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। দু’জন নারী-পুরুষ যখন যথার্থভাবে পর্দা পালন করে চলে, তখন তাদের। প্রেম-ভালোবাসার মাঝে কেউ ভাগ বসাতে পারে না। তাদের প্রেমের বাগানে ফোটা ফুলের সৌরভ শুধু তারাই উপভোগ করে; অন্য কেউ নয়। সুতরাং বুঝা গেল যে, প্রেম-ভালোবাসার ভিত্তি হল পর্দা।”
ভারতবর্ষের লোকদের লজ্জা করা উচিত। লেখিকা একজন ইউরোপিয়ান হওয়া সত্ত্বেও যেখানে পর্দা প্রথার সৌন্দর্য বর্ণনা করছেন, সেখানে ভারতবর্ষের লোকেরা কীভাবে পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করতে পারে?
পর্দা সম্পর্কে একটি মোটা কথা মনে এসেছে। অনেকেই যেহেতু আমার এই কথাকে অন্তসারশূন্য একটা মোটা কথা ভাববে, তাই আমিও এটাকে মোটা কথা বলছি। কথাটি হল, আল্লাহ তাআলা যাকে পাগল বানিয়েছেন, আমরা তার বুদ্ধিহীনতার কারণে তার পাগলামী থেকে বাঁচার জন্য তাকে বন্দী করে রাখি। এমন কি তার হাত-পা পর্যন্ত বেধে রাখি। এ থেকে বুঝা যায়, বন্দী করে রাখার আসল কারণ হল বুদ্ধিহীনতা। অর্থাৎ বুদ্ধিহীনতার স্বাভাবিক দাবী হল, বুদ্ধিহীন উন্মাদ ব্যক্তিকে বন্দী করে রাখা।
সুতরাং উপরের কথা অনুযায়ী (পর্দা বিরোধীদের ভাষায়) নারীকেও বন্দী করে রাখা (অর্থাৎ পর্দার মধ্যে রাখা) আবশ্যক। কেননা, নারীর ‘স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্না’ হওয়ার বিষয়টি সকলের নিকটই সমানভাবে গ্রহণযোগ্য। তবে এতটুকু পার্থক্য অবশ্যই হওয়া উচিত। আর তা হল, যে যতটুকু পাগল, তাকে সেই অনুপাতে বন্দী করে রাখা হবে। যে পূর্ণ বুদ্ধিহীন অর্থাৎ পূর্ণ পাগল, তাকে পূর্ণরূপে বন্দী করে রাখা হবে। তার হাত-পা বেঁধে তাকে একটি কুঠরীতে বন্দী করে রাখতে হবে। আর যে অপূর্ণ বুদ্ধির অধিকারী অর্থাৎ অপূর্ণ পাগল (যেমন- নারীজাতি) তাকে সাধারণ বন্দীদশায় রাখা হবে। অর্থাৎ তাকে মাহরাম পুরুষের অনুমতি ব্যতীত ঘর থেকে বের হওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া যাবে না।
Reviews
There are no reviews yet.